রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ শিক্ষকের নিয়োগ ‘অবৈধ’।
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ শিক্ষকের নিয়োগ ‘অবৈধ’
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ শিক্ষকের নিয়োগ ‘অবৈধ’ |
রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে নিয়োগপ্রাপ্ত চার শিক্ষকের মধ্যে তিনজনের নিয়োগই অবৈধ বলে অভিযোগ উঠেছে। এরা হলেন- তাবিউর রহমান প্রধান, তাসনিম হুমাইদা ও নিয়ামুন নাহার। এ দিকে, হাইকোটের নির্দেশনার পরও নিয়োগ দেওয়া হয়নি মো. মাহামুদুল হককে। গত বছরের ১৫ অক্টোবর এক রায়ে মাহামুদুল হককে ১৫ দিনের মধ্যে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় আদালত।
২০১২ সালে ১৩ জানুয়ারি বাছাই বোর্ড যথাক্রমে মোহা. গোলাম কাদির মন্ডল ও মোহা. নজরুল ইসলামকে মেধা তালিকায় এবং মোহা. মাহামুদুল হক ও নিয়ামুন নাহারকে অপেক্ষমাণ তালিকায় রেখে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে। বাছাই বোর্ডের সুপারিশে স্বাক্ষর করেন ওই সময়ের উপাচার্য ড. মু. আব্দুল জলিল মিয়াসহ তিনজন। কিন্তু বাছাই বোর্ডের সুপারিশপত্রে দেখা যায়, কম্পিউটারে প্রিন্টকৃত ১ ও ২ নম্বর সিরিয়ালের পরে ৩ নম্বর সিরিয়াল হাতে-কলমে লিখে তাসনিম হুমাইদাকে মেধা তালিকায় তৃতীয় এবং অপেক্ষামাণ তালিকায় তৃতীয় হিসেবে তাবিউর রহমানের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বিধিমালায় বলা হয়েছে, যদি বাছাই বোর্ডের সুপারিশের সাথে সিন্ডিকেট সভার দ্বিমত হয়, তাহলে তা আচার্যের কাছে পাঠাতে হবে। তিনি এ ব্যাপারে যা সিদ্ধান্ত দেবেন তাই কার্যকর হবে। অথচ চ্যান্সেলরের অনুমোদন ছাড়াই মেধা ও অপেক্ষমাণ তালিকায় দুজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
মাহামুদুল হকের আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম বলেন, হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে মাহমুদুলকে নিয়োগ দিতে হবে। রায়ের কপি পাওয়ার পর ১৫ দিনের মধ্যে নিয়োগ না দিলে সেটা হবে আদালত অবমাননার সামিল।
রেজিস্ট্রার মো. ইব্রাহিম কবির বলেন, তাবিউর রহমানকে যখন নিয়োগ দেওয়া হয় তখন আমি রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে ছিলাম না। তাই আমি এ ব্যাপারে তেমন কিছু জানি না। তবে হাইকোর্টের রায়ের কপি আমরা এখনো অফিসিয়ালি পাইনি। মাহমুদুল হক নিজে বিশ্ববিদ্যালয়ে রায়ের একটি কপি পৌঁছে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন উপদেষ্টা ভালো বলতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মাহমুদুল হককে কেন নিয়োগ দেয়া হয়নি এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভালো জানে।
উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অফিসে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে যোগদানের পর থেকে তিনি রংপুরে কর্মরত কোনো সাংবাদিকের ফোন রিসিভ করেন না।
No comments